Saturday, March 28, 2020

স্প্যানিস ফ্লুতে হোমিও

থেরাপিউটিকস - ৩
---------------------
ভয়াবহ স্প্যানিস ফ্লু [1918 flu pandemic, deadly influenza pandemic.] এবং সফল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: ২য় পর্ব
---------------------
Dr. Earnest F. Sappington একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। Homoeopathic Medical Society of Columbia,এর ১৫ জন চিকিৎসক ১৫০০ রোগী দেখেন, তার মধ্যে মারা যায় মাত্র ১৫ জন।
তাদের কঠিন কষ্টসাধ্য পরিস্থিতির মধ্যেও মৃত্যুহার ছিল ১% (তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিল)। এ রিপোর্টটি ডা: পিয়ার্সন প্রকাশিত গড় হিসেবের সাথে মিলে যায়। ওয়াশিংটন হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালে আরোগ্যের হার ছিল ১০০%। কলম্বিয়ায় তখন বিশ্বযুদ্ধের কারনে কঠিন সময় যাচ্ছিল। একজন চিকিৎসক দেখেন ১৩ জন যুদ্ধকর্মি একটি চিলে কোঠার মধ্যে ঘুমান। তাদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত ছিলেন। তাদের জন্য নার্স পাওয়া অসম্ভব ছিল। সুস্থ ৬ জন তাদের জন্য স্বেচ্ছায় নার্সিং করছিল। আমি সেই অবস্থায় কাঠিয়ে উঠতে পেরেছিলাম, এবং কেউ মারা যায় নি। এ রকম অভিজ্ঞতার হিসেব কলম্বিয়া জেলায় বহুগুনে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। [১১]
আরেকটি সমীক্ষা প্রকাশ করেন ডার্বির Dr. Herbert Roberts। কানিকটিকাটের ৩০ জন্য চিকিৎসক ৬৬০২ জন রোগীর চিকিৎসা দেন, তাদের মাঝে মারা যায় ৫৫ জন। মৃত্যুহার ছিল ০.৮৩ %। তিনি বলেন, “তাদের মাঝে ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত মেনিন্জাইটিস এবং ৪৯৬ জনের নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছিল।” [১২]
নিউইয়র্ক মেডিকেল কলেজের Profdessor Guy Beckley Stearns একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন। International Hahnemannian Association (IHA) সদস্যদের দ্বারা ১৬, ৯১৩ রোগী চিকিৎসিত হয়। সেখানে ৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যুহার ছিল মাত্র ০.৪%। এই শেষ সংখ্যাগুলি অবশ্যই জেনুইন হোমিওপ্যাথদের দ্বারা প্রাপ্ত ফলাফলের নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এই সমীক্ষায় ১৩০ জন সক্রিয় আমেরিকার হোমিওপ্যাথের মধ্যে ৭৯ জন অংশগ্রহন করেছিলেন। যারা অংশ নেন নি তাদের সাথে পরবর্তীতে
Dr. Stearns কথা বলে জেনেছেন যে তাদের চিকিৎসিত রোগীর মৃত্যুহার একই রকমের ছিল।” [১৩]
মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের Professor Willis A. Dewey একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেন। ৩০ জন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ৯,২৫০ জন রোগী চিকিৎসা করেন, তাদের মাঝে মৃত্যু হয় ১৭ জনের। মৃত্যুহার ছিল ০.১৮ % [১৪]
Dr. L. A. Royal সেন্ট্রাল আইওয়া হোমিওপ্যাথিক এসোসিয়েশনের ১৮ জন চিকিৎসকের থেকে প্রাপ্ত সমীক্ষা প্রকাশ করেন। তারা ৫,০৩২ জন রোগী চিকিৎসা করেন। তাদের মাঝে চিকিৎসাকালে ১৩৭ জনের নিউমোনিয়া দেখা দেয়। যখানে এলোপ্যাথিক চিকিৎসাকালীন সময়ে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ার হার ৩০% সেখানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকালীন সময়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হার ২.৭% যা নি:সন্দেহে হোমিওপ্যাথদের গর্বের বিষয়।
বেশিরভাগ ৫/৬ দিন ভোগার পর হোমিওপ্যাথদের নিকট আসে। সেসময় ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণ তিন দিনে কমে যেত, কিন্তু যাদেরটা ভাল না হতো তারা ৫ম বা ৬ষ্ঠ দিনে নিউমোনিয়িায় আক্রান্ত হতো। ৫০৩২জন রোগীর মাঝে মাত্র ১৮ জন রোগী মারা যায়। মৃত্যুহার ০.৩৬ % মাত্র। আমি অন্য যেকোন চিকিৎসা পদ্ধতির চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ জানাই যে তারা দেখাক যে এত বেশি সংখ্যক রোগীর মাঝে এত ভাল ফলাফল তারা দেখাতে পারে কি না। [১৫]
------------
তথ্যসূত্র:


[১১] Ernest F. Sappington. Discussion: Influenza: a favortable mortality and publicity. Journal of the American Institute of Homeopathy 1919-20; 12: 588.
[১২] H. A. Roberts. Discussion: Influenza: a favoable mortality and publicity. Journal of the American Institute of Homeopathy 1919-1920; 12: 591.
[১৩] Donald Macfarlan. Materia medica meeting. Homoeopathic Recorder 1920; 35; 262-265.
[১৪] W. A. Dewey. Homeopathy in influenza—A chorus of fity in harmony. Journal of the American Institute of Homeopathy 1920-21; 13: 1038-1043.
[১৫] L. A. Royal. Influenza and its results under homeopathic care in Central Iowa. Iowa Homeopathic Journal 1919-1920; 13: 194-198.

No comments: