Wednesday, January 11, 2012

অনুশীলন ও সুস্থ্যতা

নিজের ও প্রিয় মানুষদের স্বার্থে, কিছুটা সময় নিয়ে পড়ুন ও কাছের মানুষের সাথে শেয়ার করুন!

আসুন সবাই মিলে মিশে সুস্থ্য থাকি! :)

খালি পেটে পানিসেবনঃ

জাপানে প্রতিদিন ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে পানি পান করাটা একটি চল। বৈজ্ঞানিক গবেষণা থেকেও এর উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অনেকদিন ধরে পুষে রাখা পুরোনো এবং আশংকাজনক রোগের পাশাপাশি, আধুনিক যুগের আবিষ্কৃত রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিকে সফল হিসেবে প্রমাণ করেছে জাপানিজ মেডিক্যাল সোসাইটি। তাদের দাবী অনুযায়ী, উক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করে নিম্নবর্ণিত রোগসমূহ হতে সম্পূর্ণভাবে নিস্তার পাওয়া সম্ভবঃ

মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, হৃদযন্ত্র সমস্যা, আর্থ্রাইটিস, দ্রুত হৃদস্পন্দন, মৃগীরোগ, স্থূলতা, যক্ষ্মা, টিউবারকোলসিস (টিবি), মেনিনজাইটিস, কিডনী ও মূত্রথলী সংক্রান্ত সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক, ডায়রিয়া, বহুমূত্র (ডায়বেটিকস), কষা পায়খানা, চক্ষু সমস্যা, ক্যান্সার, নারীদের ঋতুজনিত সমস্যা, নাক-কান-গলার সমস্যা ইত্যাদি।

চিকিৎসা পদ্ধতিঃ

১/ প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার সাথে সাথে বাসিমুখে ৪X১৬০= ৬৪০ এমএল অথবা স্ট্যান্ডার্ড মাপের তিন গ্লাস পানি পান করবেন। (পানির ছোট বোতলগুলো সাধারণত ৫০০ এমএল তরল ধারণ করে)

২/ দাঁত মেজে মুখ পরিষ্কার করুন, কিন্তু পরবর্তী অন্তত ৪৫ মিনিট কিছু পান/খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৩/ ৪৫ মিনিট পরে স্বাভাবিক ভাবে খেতে/পান করতে পারেন।

৪/ দিনের মূল খাবার (সকালের নাস্তা/দুপুরের খাবার/রাতের খাবার) শেষ হবার ১৫ মিনিট পর থেকে অন্তত পরের দুই ঘন্টা কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

৫/ অসুস্থ এবং অপারগ ব্যক্তিরা হয়ত তিনগ্লাস পানি একসাথে খেতে নাও পারতে পারেন। তারা অল্প পানি দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে পরিমাণ বাড়াতে পারেন।

৬/ এই পদ্ধতিতে জীবনযাপন করলে অসুস্থরা খুব দ্রুত আরোগ্য পাবেন এবং সুস্থ্য মানুষেরা স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করতে পারবেন।

নিচে একটি ছোট্ট তালিকা দেয়া হলো যে, উক্ত চিকিৎসার ফলে কোন কোন রোগ কতদিনে সেরে/ নিয়ন্ত্রণে/কমে যায়ঃ

১/ উচ্চরক্তচাপ (৩০ দিন)
২/ গ্যাস্ট্রিক (১০ দিন)
৩/ বহুমূত্র/ডায়বেটিকস (৩০ দিন)
৪/ কষা পায়খানা (১০ দিন)
৫/ ক্যান্সার (১৮০ দিন)
৬/ যক্ষ্মা (৯০ দিন)
৭/ আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য উক্ত চিকিৎসাপদ্ধতি, ১ম সপ্তাহে তিন দিন, ২য় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন।

এই চিকিৎসার পদ্ধতির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, যেহেতু মানবদেহের প্রায় ৫৫%-৭৮%-ই হচ্ছে পানি। এই পদ্ধতি অবলম্বনের শুরুর দিকে হয়তো আপনার বেশ কয়েকবার প্রস্রাবের বেগ পাবে, যা খুবই স্বাভাবিক। এতে ভয়ের কিছুই নেই। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল এটা কমবেশি আমরা সবাই-ই জানি।

আসুন, আমরা এই সকালে পানিপানের পদ্ধতিটিকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে বরণ করে নিই, এবং সুস্থ্য থাকি।

চাইনিজ ও জাপানিরা সাধারণত তাদের খাবারের সাথে গরম চা অথবা উষ্ণ পানীয় পান করে। তারা কিন্তু, খাবারের সাথে ঠাণ্ডা পানীয় পান করে না, যদিও তা অনেকাংশে বেশি আনন্দদায়ক। কিন্তু কেন??? কখনো কি প্রশ্ন জেগেছে মনে???

আপনি যখন দিনের একটি প্রধান খাবারের মাঝে/শেষে ঠাণ্ডা পানি/পানীয় পান করেন, তখন তা আপনার পাকস্থলির ভেতর গিয়ে সদ্য গ্রহণ করা স্নেহজাতীয় পদার্থ (যেমনঃ তেল, ঘি, মাখন, বাদাম ইত্যাদি) গুলোকে জমিয়ে শক্ত করে ফেলে, যা কিনা আপনার পরিপাকক্রিয়ার গতি ধীর করে ফেলে।

এই জমে যাওয়া স্নেহপদার্থগুলো যখন আপনার পাকস্থলি ও অন্যান্য পরিপাকযন্ত্র হতে নিঃসরিত এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে, তখন এগুলো খুব দ্রুত ভেঙ্গে গিয়ে পাকস্থলি ও অন্ত্রের বিভিন্ন স্থান দ্বারা শোষিত হয়ে শরীরে জমে যায়। অল্পসময়ের মধ্যেই তারা চর্বিতে পরিণত হয় এবং ধীরে ধীরে ক্যান্সারে পরিণত হবার দিকে এগিয়ে যায়।

এজন্যে খাবারের পরে গরম স্যুপ অথবা উষ্ণ পানি পান করাই উত্তম।

হার্ট এটাক বিষয়ে জরুরি কিছু কথাঃ

- হার্ট এটাকের উপসর্গ যে শুধু বামবাহু’র ব্যথা করা, তা নয়,

- চোয়ালের প্রচণ্ড ব্যথাও একটি উপসর্গ।
- হার্ট এটাক হবার সময় প্রাথমিক পর্যায়ে বুকে ব্যথা না-ও হতে পারে।
- বমি করা এবং প্রচণ্ড ঘাম হওয়া খুবই সাধারণ একটি উপসর্গ।
- ৬০ শতাংশ মানুষ যারা ঘুমের মধ্যে হার্ট এটাক করেন, তারা জেগে উঠতে পারেন না। যদিও চোয়ালের ব্যথার কারণে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।

সাবধান থাকুন। সুস্থ্য জীবন যাপন করুন। শত ব্যস্ততার মাঝেও দিনে ১০-১৫ মিনিট সময় খুঁজে নিয়ে ফ্রিহ্যাণ্ড ব্যায়াম করুন।

আজ আপনি অনেক কিছু জানলেন। আপনার প্রিয়জনদের মাঝেও ছড়িয়ে দিন এই অতিপ্রয়োজনীয় জ্ঞানের আলো। সবাই-ই যদি আমরা জানতে পারি, অন্তত যদি একজন মানুষের জীবনও বেঁচে যায়, সেই সাফল্য আমাদের সবার।