Monday, February 21, 2022

Over this matter.!

Greetings,

I have a mandate to seek for an individual or corporate entity, that can help channel funds into profitable investments.

The said Funds cannot be traced because it was deposited in a bank and she wants the funds channeled into investments of value or real estate as an anonymous investor either in your Country or any country of your choice under your supervision, If you are interested in assisting, kindly send me an email so we can conclude on the modalities. She is offering you 30% of the total amount for your kind assistance and cooperation.

My Client, Isabel dos Santos is an Angolan businesswoman, Africa's richest woman and the eldest child of Angola's former President Jose Eduardo dos Santos, who ruled the country from 1979 to 2017. In 2013, according to Forbes, her net worth had exceeded US$2 billion making her Africa's first female US dollar billionaire.

All I require is your honest cooperation to enable us see this transaction through. I will also guarantee you that this will be executed under a legitimate arrangement that will protect you from any breach of the law here or in your country.

Contact me via ( grenvillefred@gmail.com ).

Regards
Fred Grenville

Thursday, January 20, 2022

Hello.

Greetings,

I have a mandate to seek for an individual or corporate entity, that can help channel funds into profitable investments.

The said Funds cannot be traced because it was deposited in a bank and she wants the funds channeled into investments of value or real estate as an anonymous investor either in your Country or any country of your choice under your supervision, If you are interested in assisting, kindly send me an email so we can conclude on the modalities. She is offering you 30% of the total amount for your kind assistance and cooperation.

My Client, Isabel dos Santos is an Angolan businesswoman, Africa's richest woman and the eldest child of Angola's former President Jose Eduardo dos Santos, who ruled the country from 1979 to 2017. In 2013, according to Forbes, her net worth had exceeded US$2 billion making her Africa's first female US dollar billionaire.

All I require is your honest cooperation to enable us see this transaction through. I will also guarantee you that this will be executed under a legitimate arrangement that will protect you from any breach of the law here or in your country.

Contact me via ( grenvillefred@gmail.com ).

Regards
Fred Grenville

Saturday, July 4, 2020

Wednesday, April 1, 2020

ইনফ্লুয়েঞ্জার হোমিও চিকিৎসা

ইনফ্লুয়েঞ্জার সবচেয়ে বড় জটিলতা হল নিউমোনিয়া। যারা মারা যায় তাদের অধিকাংশই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তাই নিউমোনিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে খুব ভাল জ্ঞান থাকতে হবে। এক্ষেত্রে প্রায়ই রোগীদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়া উচিত।
Dr. Borland তার বিখ্যাত নিউমোনিয়া বইয়ে নিউমোনিয়াকে চারটি পর্যায়ে ভাগ করে প্রত্যেকটি ভাগের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ উল্লেখ করে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন।
যেমন -
#১. Group-A: Incipient stage (প্রারম্ভিক স্তর): [নিউমোনিয়ার Congestion stage এর গ্রুপে পড়ে।] প্রথম ২৪ ঘন্টা হলো প্রারম্ভিক পর্যায়।
এই গ্রুপের জন্য ৪ টি ওষুধ প্রাই নির্দেশিত হয়। Aconite, Belladonna, Ferrum phos and Ipecac
#২. Group-B: Frankly developed pneumonia (যখন স্পষ্টভাবে নিউমোনিয়া প্রকাশিত): [Consolidation, Hepatization stage এই গ্রুপে পড়ে।] ২৪ ঘন্টা পর এই পর্যায় শুরু হয়।
এই গ্রুপের জন্য প্রায়ই চারটি ওষুধ নির্দেশিত হয়। Bryonia, Phosphorus, Veratrum viride, Chelidonium majus. নিউমোনিয়া যখন সাধারণভাবে দেখা দেয়, কোন জটিলতা হয় নাই, সাধারণভাবে চলমান Lobar pneumonia - তে এই চারটি ওষুধই সাধারণত নির্দেশিত হয়।
শীতকালে Phosphorus বেশি লাগে, সাধারণ তাপমাত্রায় Bryonia বেশি লাগে। এ দু’টি ওষুধই এ পর্যায়ে সারাবছর বেশি লাগে। বছরে কমসংখ্যক বা মহামারীতে বেশ কিছু রোগীতে Veratrum viride ব্যবহৃত হয়। Chelidonium কম ব্যবহৃত হয়। এগুলো শীতের চেয়ে সাধারণ আবহাওয়াতে বেশি নির্দেশিত হয়।
#৩. Group-C: Complicated pneumonias (জটিলতাপ্রাপ্ত নিউমোনিয়া):
এই গ্রুপের রোগীদের চিকিৎসা করতে খুব দক্ষতার প্রয়োজন। প্রায়ই একটি ওষুধে রোগী সুস্থ হয় না। প্রথম নির্বাচিত ওষুধ দেয়ার পর রোগী উন্নতি হয়, পরে লক্ষণের পরিবর্তন হয় তখন দেখা যায় ভিন্ন ওষুধ লাগে।
রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ খুঁজে পাওয়াও বেশ কষ্টসাধ্য। আবার প্যাথলজির গভীরতা অনুযায়ী যথাযথা শক্তি নির্বাচন করতে হয়। নিম্ন শক্তিকে প্রায়ই প্রতিক্রিয়া হয় না, 1M শক্তি ভাল কাজ করে।
ক) মিশ্র সংক্রমন (Mixed Infection) + অত্যধিক অস্বাস্থ্যকর রোগী (Very unhealthy Patient): নিউমোনিয়া খুব জটিল পর্যায়ে চলে গিয়েছে, মিশ্র সংক্রমন (mixed infection), শারীরিক ভাবে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে।
এই গ্রুপের জন্য বেশি ব্যবহৃত ওষুধের মধ্যে আছে, Baptisia tictoria, Pyrogenium, Lachesis mutus, Mercurius solubilis, Sulphur, Rhus toxcodendron.
জটিলতা প্রাপ্ত নিউমোনিয়ার রোগীর জন্য সঠিক ওষুধ নির্বাচন করা অনেক কঠিন। প্রায়ই রোগী একই ধরনের লক্ষণ প্রকাশ করে। যারা এলকোহল পান করেন তাদের জন্য Mercuirius, Lachesis ভাল কাজ করে। সেপ্টিক অবস্থায় Baptisia, Lachesis, Pyrogen বেশি নির্দেশিত হয়।
খ) মারাত্মক জটিলতা প্রাপ্ত নিউমোনিয়া (creeping type of pneumonia) বা বয়স্কদের ব্রঙ্কো-নিউমোনিয়া (Definite Broncho-pneumonia in adults): নিউমোনিয়া প্রথমে ফুসফুসের কোন একটি লোব আক্রান্ত করে (lobar pneumonia), পরবর্তিতে ফুসফুসের অন্যভাল অংশগুলো আক্রান্ত হতে থাকে। পূর্বের আক্রান্ত অংশ ঠিক না হয়ে ফুসফুসের বিভিন্ন অংশ আক্রান্ত করে অবস্থা আরো জটিল করে ফেলে।
এক্ষেত্রে উপরে বর্ণিত যেকোন ওষুধ লাগতে পারে। তবে চারটি ওষুধ এক্ষেত্রে ভাল কাজ করে। যেমন - Pulsatilla, Natrum sulph, Senega, Lobelia।
#8. Group-D: Late pneumonias (বিলম্বিত নিউমোনিয়া):
অনেক রোগী আমরা শুরুর দিকের পর্যায়ে/স্টেজে পাই না অথবা এমন রোগী পাই যেগুলোতে পুরোপুরি সুস্থ হচ্ছে না, বা রোগী তার আরোগ্য নিয়ে অসন্তুষ্ট। এসব রোগী চায় চূড়ান্তভাবে তাদের ফুসফুস নিউমোনিয়া মুক্ত হোক। এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার জন্য ৬ টি ওষুধ সম্পর্কে ভালভাবে জানা থাকতে হবে। এগুলো হল - Antim tart, Carbo veg, Kali carb, Arsenic, Lycopodium and Sulphur.
#উপসংহার:
উপরে উল্লেখিত ওষুধ গুলো নিয়ে আপনারা যদি কোন মহামারীর রোগী চিকিৎসা করতে নামেন, এবং সঠিকভাবে ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার কাছে ১০০% রোগী ভাল হবে,
প্রচলিত চিকিৎসায় তাদের সর্বাধুনিক ওষুধ খেয়েও ২৩% রোগী মৃত্যু বরন করবে। [DM Borland]
#নিউমোনিয়ার রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রে ডাক্তারদের জন্য Dr. Roger Morrison এর কিছু নির্দেশনাবলী -
১. ভালভাবে পুর্ণাঙ্গ কেইস টেকিং করতে হবে।
২. যতক্ষণ না কোন ওষুধের চিত্র রোগীর মাঝে স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে ততক্ষণ পর্যন্ত ওষুধ দেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কঠিন একুইট রোগীর মাঝেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওষুধের সঠিক চিত্র পাওয়া যায়।
৩. শুধু জ্বর দেখেই ভয় পেয়ে তাড়াহুড়ো করে ওষুধ দিবেন না। মনে রাখবে অস্পষ্ট লক্ষণ ধরে ভুল ওষুধ প্রয়োগ করলে রোগীর লক্ষন আরোও অস্পষ্ট হয়ে যায়, ফলে পরবর্তীতে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে বেগ পেতে হয়।
৪. এসব রোগীতে প্রায়ই উচ্চ শক্তির প্রয়োজন হয়। ১ হাজার শক্তি কোন ক্ষেত্রে ১০ হাজার শক্তি প্রয়োজনে প্রতিদিন কয়েকবার ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে।
৫. সিরিয়াস রোগীগুলোর প্রতিদিন ফলো-আপ করা প্রয়োজন। প্রতিটি লক্ষণ আবার নতুন করে খোঁজ নিতে হবে।
৬. নিউমোনিয়ার রোগী প্রায়ই একাধিক ওষুধ লাগে। কারন প্রথম নির্বাচিত ওষুধ প্রয়োগের পর রোগীর মাঝের লক্ষণের পরিবর্তন হয়, সেজন্য পরবর্তী অন্য ওষুধ নির্দেশিত হয়। রোগীর সম্পূর্ণ আরোগ্যের জন্য তাই কয়েকটি ওষুধ প্রয়োগ করার দরকার হয়। নতুন লক্ষণ দেখা দিলে সে লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ প্রয়োগ করুন, এবং অনেক সময়ই পরবর্তীতে অনুপূরক ওষুধ লাগে।
৭. অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর জন্য কনস্টিটিউশনাল/ধাতুগত ওষুধ লাগে। যদি কোন রোগী আগে থেকেই ধাতুগত ওষুধ সেবন করতে থাকে সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে যদি তার নিউমোনিয়াযুক্ত লক্ষণাবলী আংশিকভাবে কভার করে তবে উক্ত ধাতুগত ওষুধই পুন:প্রয়োগ করতে হবে এবং এটাই তার জন্য সবচেয়ে ভাল করবে।
৮. প্রথাগতভাবে (traditionally) বহু হোমিওপ্যাথ নিউমোনিয়াকে বিভিন্ন ধাপে ভাগ করে [inflammatory, Consolidation/hepatization, Recovering phase] ওষুধের আলোচনা করেছেন। এই ধাপগুলো ওষুধের পার্থক্যকরনে সাহায্য করে তবে যেকোন ওষুধ যেকোন ধাপে নির্দেশিত হতে পারে।
চলবে..........
-------------------
Mohammad Mohshinuzzaman BHMS (1st place), PGD
01712079617

Saturday, March 28, 2020

স্প্যানিস ফ্লুতে হোমিও

থেরাপিউটিকস - ৩
---------------------
ভয়াবহ স্প্যানিস ফ্লু [1918 flu pandemic, deadly influenza pandemic.] এবং সফল হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: ২য় পর্ব
---------------------
Dr. Earnest F. Sappington একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন। Homoeopathic Medical Society of Columbia,এর ১৫ জন চিকিৎসক ১৫০০ রোগী দেখেন, তার মধ্যে মারা যায় মাত্র ১৫ জন।
তাদের কঠিন কষ্টসাধ্য পরিস্থিতির মধ্যেও মৃত্যুহার ছিল ১% (তখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছিল)। এ রিপোর্টটি ডা: পিয়ার্সন প্রকাশিত গড় হিসেবের সাথে মিলে যায়। ওয়াশিংটন হোমিওপ্যাথিক হাসপাতালে আরোগ্যের হার ছিল ১০০%। কলম্বিয়ায় তখন বিশ্বযুদ্ধের কারনে কঠিন সময় যাচ্ছিল। একজন চিকিৎসক দেখেন ১৩ জন যুদ্ধকর্মি একটি চিলে কোঠার মধ্যে ঘুমান। তাদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত ছিলেন। তাদের জন্য নার্স পাওয়া অসম্ভব ছিল। সুস্থ ৬ জন তাদের জন্য স্বেচ্ছায় নার্সিং করছিল। আমি সেই অবস্থায় কাঠিয়ে উঠতে পেরেছিলাম, এবং কেউ মারা যায় নি। এ রকম অভিজ্ঞতার হিসেব কলম্বিয়া জেলায় বহুগুনে বৃদ্ধি করা যেতে পারে। [১১]
আরেকটি সমীক্ষা প্রকাশ করেন ডার্বির Dr. Herbert Roberts। কানিকটিকাটের ৩০ জন্য চিকিৎসক ৬৬০২ জন রোগীর চিকিৎসা দেন, তাদের মাঝে মারা যায় ৫৫ জন। মৃত্যুহার ছিল ০.৮৩ %। তিনি বলেন, “তাদের মাঝে ইনফ্লুয়েঞ্জাজনিত মেনিন্জাইটিস এবং ৪৯৬ জনের নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছিল।” [১২]
নিউইয়র্ক মেডিকেল কলেজের Profdessor Guy Beckley Stearns একটি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেন। International Hahnemannian Association (IHA) সদস্যদের দ্বারা ১৬, ৯১৩ রোগী চিকিৎসিত হয়। সেখানে ৬৭ জন মৃত্যুবরণ করেন, মৃত্যুহার ছিল মাত্র ০.৪%। এই শেষ সংখ্যাগুলি অবশ্যই জেনুইন হোমিওপ্যাথদের দ্বারা প্রাপ্ত ফলাফলের নিখুঁত প্রতিনিধিত্ব করে। কারণ এই সমীক্ষায় ১৩০ জন সক্রিয় আমেরিকার হোমিওপ্যাথের মধ্যে ৭৯ জন অংশগ্রহন করেছিলেন। যারা অংশ নেন নি তাদের সাথে পরবর্তীতে
Dr. Stearns কথা বলে জেনেছেন যে তাদের চিকিৎসিত রোগীর মৃত্যুহার একই রকমের ছিল।” [১৩]
মিচিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের Professor Willis A. Dewey একটি সমীক্ষা প্রকাশ করেন। ৩০ জন হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ৯,২৫০ জন রোগী চিকিৎসা করেন, তাদের মাঝে মৃত্যু হয় ১৭ জনের। মৃত্যুহার ছিল ০.১৮ % [১৪]
Dr. L. A. Royal সেন্ট্রাল আইওয়া হোমিওপ্যাথিক এসোসিয়েশনের ১৮ জন চিকিৎসকের থেকে প্রাপ্ত সমীক্ষা প্রকাশ করেন। তারা ৫,০৩২ জন রোগী চিকিৎসা করেন। তাদের মাঝে চিকিৎসাকালে ১৩৭ জনের নিউমোনিয়া দেখা দেয়। যখানে এলোপ্যাথিক চিকিৎসাকালীন সময়ে নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ার হার ৩০% সেখানে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসাকালীন সময়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হার ২.৭% যা নি:সন্দেহে হোমিওপ্যাথদের গর্বের বিষয়।
বেশিরভাগ ৫/৬ দিন ভোগার পর হোমিওপ্যাথদের নিকট আসে। সেসময় ইনফ্লুয়েঞ্জা সাধারণ তিন দিনে কমে যেত, কিন্তু যাদেরটা ভাল না হতো তারা ৫ম বা ৬ষ্ঠ দিনে নিউমোনিয়িায় আক্রান্ত হতো। ৫০৩২জন রোগীর মাঝে মাত্র ১৮ জন রোগী মারা যায়। মৃত্যুহার ০.৩৬ % মাত্র। আমি অন্য যেকোন চিকিৎসা পদ্ধতির চিকিৎসকদের চ্যালেঞ্জ জানাই যে তারা দেখাক যে এত বেশি সংখ্যক রোগীর মাঝে এত ভাল ফলাফল তারা দেখাতে পারে কি না। [১৫]
------------
তথ্যসূত্র:


[১১] Ernest F. Sappington. Discussion: Influenza: a favortable mortality and publicity. Journal of the American Institute of Homeopathy 1919-20; 12: 588.
[১২] H. A. Roberts. Discussion: Influenza: a favoable mortality and publicity. Journal of the American Institute of Homeopathy 1919-1920; 12: 591.
[১৩] Donald Macfarlan. Materia medica meeting. Homoeopathic Recorder 1920; 35; 262-265.
[১৪] W. A. Dewey. Homeopathy in influenza—A chorus of fity in harmony. Journal of the American Institute of Homeopathy 1920-21; 13: 1038-1043.
[১৫] L. A. Royal. Influenza and its results under homeopathic care in Central Iowa. Iowa Homeopathic Journal 1919-1920; 13: 194-198.

করোনায় হোমিও-৩

সংগৃহীত: Mohammad Mohshinuzzaman BHMS

Coronavirus disease 2019 (COVID-19)
-------------------
আজ আমরা আলোচনা করবো Covid-19 এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কোন রোগের নাম ধরে হয় না। রোগীর মাঝে প্রকাশিত লক্ষণাবলী ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্রিকরণ (individualization) করে চিকিৎসা করা হয়।
#Covid-19 রোগের লক্ষণগুলো হল -
প্রধান লক্ষণ: জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট।
অন্যান্য লক্ষণ: দুর্বলতা, শরীর ব্যথা (continuous dull pain), নাক থেকে সর্দিস্রাব, গলাব্যথা।
উপরের লক্ষণগুলো কারো মাঝে হালকাভাবে দেখা দেয় কারো মাঝে মধ্যম ভাবে দেখা দেয়, কারো ক্ষেত্রে মারত্মকভাবে দেখা দিতে পারে। কিছু মানুষের আবার কোন লক্ষনই প্রকাশ পায় না। যাহোক বৃদ্ধলোক এবং যাদের ক্রনিক মেডিকেল কন্ডিশন যেমন- হৃদরোগ বা ফুসফুসের রোগ (emphysema, COPD), উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে অবস্থা ক্রিটিক্যাল হতে পারে।
এ রোগটি সাধারণ ঠাণ্ডাকাশির মতো করেই শুরু হয় যেমনটা আমরা ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীতে দেখতে পাই। রোগটি যদি শুরুতে থামানো না যায় তাহলে জটিল অবস্থা ধারণ করে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া দেখা দেয় (উভয় ফুসফুস আক্রান্ত হয়), শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।
সুতরাং করোনার রোগী চিকিৎসা করতে গেলে আমাদের যেসব ওষুধ কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতে হবে। সেই সাথে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো সম্পর্কেও ভাল জ্ঞান রাখতে হবে যাতে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারি।
প্রতিটি ওষুধেরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ রয়েছে সেগুলো প্রতিটি রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্রিকরণের সাথে মিল করে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
#শক্তি ও মাত্রাঃ
এক্ষেত্রে ওষুধ অবশ্যই শক্তি পরিবর্তন রীতিতে প্রয়োগ করতে হবে। ৫০ সহস্রতমিক ওষুধ ০/১ বা ০/২ থেকে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণভাবে ৪ ঘন্টা পরপর দেয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে খুব ঘনঘন বা দেরিতে প্রয়োগ করতে হবে। যারা শততমিক ওষুধ ব্যবহার করেন, তারা ওষুধের ৬, ৩০, ২০০, ১০০০ শক্তি রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।
পরবর্তীতে আমরা সাধারণ ঠাণ্ডাকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়াতে বেশি নির্দেশিত ওষুধগুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ।
#করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯ থেকে বাঁচার জন্য যা করবেন -
১. লোকজনের সমাবেশ থেকে দূরে থাকুন।
২. যারা অসুস্থ বা যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে তাদের থেকে ৬ ফুট দূরে অবস্থান করুন। অন্যদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকুন।
৩. সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোন, অথবা এলকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার (60% এলকোহল) ব্যবহার করুন।
৪. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢাকুন, না থাকলে আপনার কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিন।
৫. হাত পরিস্কার না করে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
৬. খাবার, গ্লাস, বিছানা এবং অন্যান্য গৃহস্থলি আইটেম কারো সাথে ভাগাভাগি করবেন না।
৭. দৈনন্দিন যেসব স্থান/সমতল আপনাকে স্পর্শ করতে হয় সেগুলো প্রতিদিনই পরিস্কার করে জীবানুমূক্ত থাকুন।
৮. কাজ, স্কুল এবং পাবলিক স্থান থেকে দূরে থাকুন এবং বাসায় থাকুন। নিতান্ত প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলো সাবধানতা অবলম্বন করুন। যদি আপনি অসুস্থ থাকেন তাহলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিহার করুন।
৯. কাঁচা মাংস বা ঠিকমত গরম করে রান্না করা হয় নাই সেধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০. জীবন্ত প্রাণী এবং কোন সমতল যেমন খোলা মার্কেটের, সিড়ির রেলিং ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বেঁচে থাকুন।
১১. আক্রান্ত স্থানে ভ্রমন করার কথা মাথায়ও আনবেন না।
WHO এবং CDC সাধারণত সাধারনদের জন্য মাস্ক পরার পরামর্শ দেন না। যদি কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতারা আপনাকে পড়ার নির্দেশ দেন তবে মাস্ক পড়ুন।

সর্দিজনিত সমস্যায় হোমিও চিকিৎসা


থেরাপিউটিকস-৫
---------------------------------
করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সর্দিকাশি দিয়েই শুরু হয়। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কোন রোগ ধরে হয় না লক্ষণসমষ্টি নিয়ে আমাদেরর ওষুধ দিতে হয়। শুরুতেই যদি করোনার প্রাথমিক লক্ষণগুলো + রোগীর ব্যক্তিগত লক্ষণ মিলিয়ে হোমিও ওষুধ প্রয়োগ করলে সমস্যা দ্রুতই কমে যায়, সেটা সাধারণ সর্দিকাশিই হোক বা Covid-19 এর কারনেই হোক, সমস্যা আর জটিলতার দিকে যাবে না।
প্রথমে আমরা সর্দিজনিত সমস্যায় বেশি ব্যবহৃত হোমিও ওষুধ সম্পর্কে জানবো।
#রোগের শুরুর ধাপে/প্রাথমিক পর্যায়ে Camphor, Aconite, Nux vom, Bryonia, Belladonna ওষুধগুলো বেশি নির্দেশিত হয়।
- প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে ঠাণ্ডার সংস্পর্শে যাওয়ার পর রোগী যদি মনে করে তার ঠাণ্ডা লাগবে তখন Camphor ০/১, ৬, বা ৩০ শক্তির কয়েকমাত্রা ঘন ঘন প্রয়োগ করলে অসুস্থতা থেকে বাঁচা যায়।
- শুষ্ক ঠাণ্ডার সংস্পর্শে আসার পর যদি জ্বর জ্বর লাগে, রোগীর মধ্যে অস্থিরতা প্রকাশ পায় তখন Aconite প্রয়োগ করতে হয়।
- সারাদিনই জ্বর জ্বর লাগা সাথে নাক বন্ধ, কপালে ব্যথা হলে Nux vomica
- নাক শুষ্ক, বন্ধ, নাকের গোড়াসহ কপালে ব্যথা, সঞ্চালনে/নড়াচড়ায় বাড়ে, ঠোট শুষ্ক, প্রচুর পিপাসা - Bryonia alba
- চোখ মুখ লাল, নাক থেকে সর্দিস্রাব, হঠাৎ রোগের আক্রমন, দপদপানি মাথাব্যথা - Belladonna
#রোগের দ্বিতীয় পর্যায়ে (Second stage), যখন নাক থেকে প্রচুর সর্দিস্রাব হতে থাকে তখন Merc sol, Allium cepa, Arsenic album বেশি নির্দেশিত হয়।
#তৃতীয় পর্যায়ে (Third stage): নাক থেকে ঘন হলুদ সর্দিস্রাব হলে Pulsatilla, Sulphur। মুখের স্বাদ ও নাকে গন্ধ না পেলে পালসেটিলা, ক্রনিক কেইসে Sulphur
#আসুন আরেকটু বিস্তারিতভাবে জানি -
[1] Camphor officinalis :
প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি নির্দেশিত হয়। প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়, নাক বন্ধ থাকে, নাক শুষ্ক, সুচালো। কপালে ব্যথা করে, গলাব্যথা। ওষুধটি পানির সাথে মিশিয়ে ঘন ঘন প্রয়োগ করলে (Camphor 6, 2 hourly) এবং যথাসময়ে দিতে পারলে কয়েক ডোজেই রোগী ভাল হয়ে যায়।
ডা: টাইলার বলেন যে কারো যদি শরীর ঠাণ্ডা হয় (ঠাণ্ডার সংস্পর্শে গিয়ে বা যেকোন ভাবে), শরীর এখনো গরম হয়নি, সর্দিস্রাব এখনো দেখা দেয় নি তবে Camphor টিংচার চিনির সাথে মিশিয়ে শরীর গরম না হওয়া পর্যন্ত ঘন ঘন খেলে আর সর্দি দেখা দেয় না।
ক্যাম্ফর টিংচার বহু ওষুধের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় তাই এর মাদার টিংচার অন্য ওষুধের সাথে না রেখে অন্য ঘরে রাখতে হবে। (Kent) [তবে উচ্চ শক্তির জন্য এ কথা প্রযোজ্য না]
এ অবস্থা যদি পার হয়ে যায় এবং রোগীতে জ্বর দেখা দেয় তাহলে Aconite দিতে হয়।
[২] Aconitum nap:
শুষ্ক ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে যাওয়ার পরপর জ্বর জ্বর লাগে, প্রথমে শীত করে শরীর ঠাণ্ডা হয়, তারপর প্রচণ্ড জ্বর আসে, গা জ্বরে পুড়ে যায়, ততটা ঘাম থাকে না। মাথাব্যথা করে, নাক থেকে শুরুতে খুব বেশি সর্দিস্রাব হয় না। নাকের গোড়ায় ব্যথা হয়, গলায় জ্বলে খোঁচা মারা ব্যথা হতে পারে। পরবর্তীতে নাক থেকে প্রচুর স্রাব হয়। অস্থিরতা, প্রচুর পিপাসা।
- শুষ্ক ঠাণ্ডার সংস্পর্শে গিয়ে হঠাৎ রোগের আক্রমন।
- নাক শুষ্ক, সর্দি বের হয় না, নাকের গোড়ায় ব্যথা
- খোলাবাতাসে ভাল থাকে, কথা বললে বাড়ে
- পরে, প্রচুর হাঁচি হয়, নাক থেকে গরম স্রাব হতে থাকে। সকালেই বেশি যায়।
- উচ্চ জ্বর, গলা ব্যথা। গলায় জ্বালা ও হুলফোটান ব্যথা।
- কাশি, শুষ্ক, আক্ষেপিক কাশি, রাতে পারে। কাশতে কাশতে গলা বসে যেতে পারে।
- নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস এর শুরুর দিকে এটি নির্দেশিত হয়।
- রোগী ভীত হয়ে পড়ে, উদ্বিগ্নতা ও মৃত্যুভয় দেখা দেয়, খুবই অস্থিরতা প্রকাশ পায়।
- করোনা ভাইরাসের সংবাদে যারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাদের জন্য এ ওষুধে উচ্চশক্তি কাজ দিবে।
[৩] Allium cepa:
- সর্দিস্রাব, নাক ও চোখে থেকে পানি পড়ে, সাথে মাথা ব্যথা করে।
- ঘন ঘন হাঁচি হয়, নাক থেকে যে স্রাব যায় সেটি ক্ষতকারি, নাক ও ঠোটে ঘায়ের মতো হয়ে যায়।
- চোখ থেকেও প্রচুর পানি পড়ে কিন্তু চোখের পানি ক্ষতকর না। (ইউফ্রোসিয়াতে এর উল্টো অর্থাৎ চোখের পানি ক্ষতকর কিন্তু নাকের পানি অক্ষতকর।)
- রোগী গরমকাতর, গরম ঘরে, আবদ্ধ কক্ষে বাড়ে, খোলা বাতাসে উপশম হয়। বিকালে সমস্যা বেশি হয়।
- পিপাসা
- ল্যারিক্স এর প্রদাহ হয়, কাশি দিলে মনে হয় স্বরনালী ছিড়ে যাবে। গলা চেপে কাশি দেয়। [hep, acon, dros, phos] [ML Tyler]
- ঠাণ্ডা বাতাসের নিশ্বাস নিলেই কাশি শুরু হয়।
শিশুদের ক্ষেত্রে প্রায়ই লাগে। নাকের প্রদাহজনি সর্দি, পরে প্রদাহ স্বরনালী, ব্রঙ্কাসে পৌঁছায়, কাশি দেখা দেয়। শ্বাস-প্রশ্বাসে মিউকাস জমে ঘরঘর শব্দ করে। [T.S. Iyer]
[৪] Belladonna
- আকস্মিক প্রবল রোগাক্রমন।
- নাকের সর্দি অবরুদ্ধ হয়ে প্রচণ্ড মাথাব্যথা করে।
- মুখে ও মাথায় রক্তের প্রাবল্য। চোখ লাল, মুখমণ্ডল রক্তিমাভ।
- মাথা গরম, হাত-পা ঠাণ্ডা।
- দপদপানি ব্যথা। সবকিছুতে যন্ত্রনার প্রাবল্য। যন্ত্রনা হঠাৎ আসে হঠাৎ যায়।
- বুকে সর্দি কম থাকে। গলা শুষ্ক।
- গলা যেন কাঁচা হয়ে গেছে, দেখতে চকচকে লাল।
- শুষ্ক কাশি, গলা ছিড়ে যায়। স্বরনালীর প্রদাহ, স্বরনালী ফুলে যায়, স্বরভঙ্গ দেখা দেয়। খুব ব্যথা করে।
- উচ্চ জ্বর, শুষ্ক। পিপাসা থাকে না।
[৫] Bryonia alba:
- প্রায়ই নাক থেকে শুরু হয়, হাঁচি হয়, নাকের প্রদাহ হয়ে সর্দিস্রাব হয়, চোখ থেকে পানি পড়ে, প্রথম দিন চোখে নাকে, মাথায় ব্যথা হয়। তারপর নাকের পিছনভাগ , গলা, স্বরনালি (larynx), আক্রান্ত হয়। গলা ভেঙে যায়, ব্রঙ্কাইটিস দেখা দেয় পরবর্তীতে প্লুরার প্রদাহ এবং শেষে নিউমোনিয়া দেখা দেয়। [ML Tyler]
- শুষ্ক আক্ষেপিক কাশি, রাতে বাড়ে, পানি পান ও খাওয়ার পর বাড়ে, গরম কক্ষে প্রবেশ করলে বাড়ে, গভীরভাবে শ্বাস নিলে বাড়ে।
- কাশিতে বুকে শুঁই ফোটানোর মত ব্যথা করে, সাথে মাথাব্যথা করে, কাশিতে যেন মাথা ফেটে যাবে এমন লাগে।
- ব্রায়োনিয়ার রোগী, খিটখিটে স্বভাবের, প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, চুপচাপ শুয়ে থাকতে চায়, কথা বলতে চায় না।
- সমস্ত মিউকাস মেম্ব্রেন শুষ্ক হয়ে থাকে। ঠোক শুকিয়ে যায়।
- ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়ায় বৃদ্ধি।
- Dr. Manish Bhatia, UK এর Society of Homeopath এ ওষুধটিকে COVID-19 এর প্রফাইলেকটিক হিসেবে ব্যবহার করতে বলেছেন।
[৬] Nux vomica:
- এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওষুধ। Richard Pitcairn এ ওষুধটিকে বর্তমান করোনা ভাইরাসের প্রতিকার ও প্রতিরোধ ওষুধ হিসেবে সবার আগে বিবেচনা করেছেন।
- ঠাণ্ডার শুরুর পর্যায়ে ব্যবহৃত হয়। নাক বন্ধ, বা রাতে নাক বন্ধ হয়ে থাকে, দিনের বেলায়, গরম রুমে প্রচুর সর্দিস্রাব হয়। মাথার সামনের দিকে ব্যথা হয়।
- ঠাণ্ডা বাতাসের প্রতি খুবই সংবেদনশীল। গলা ব্যথা।
- খুব শীতকাতর রোগী, সামান্য নড়াচড়ায়, বা গায়ে আবরন সড়ালেই শীতার্ত হয়ে পড়ে। এমনকি প্রবল জ্বরের সময়ও আবৃত হয়ে থাকতে পছন্দ করে, নড়াচড়া করে না।
- একোনাইটের মতো শুষ্ক ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে রোগ দেখা দেয়, একোনাইট উদ্বিগ্ন আর নাক্স খিটখিটে।
- নাক বন্ধ হয়ে প্রচুর হাঁচি হয়, খোলাবাতাসে হাঁচি বাড়ে। খোলাবাতাসের সংস্পর্শে কাঁপতে থাকে। পানি পান করার পরও কাঁপতে থাকে।
- হাত পা, পিঠসহ সারাদেহে শীত লাগতে থাকে, গরম প্রয়োগেও শীত যায় না।
- নাক্স ভম এর রোগী খুব সংবেদনশীল বিশেষ করে, সামান্য বাতাস সহ্য হয় না, খিটখিটে স্বভাবের।
[৭] Mercurius sol:
- শীতে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। বিকালে বাড়ে, রাতে বাড়ে, বিছানায় বাড়ে।
- নাক থেকে পাতলা পানির মতো স্রাব হয়, সাথে হাঁচি। চোখ থেকে পানি পড়ে।
- গলাব্যথা, খোঁচামারা, হুলফোটান ব্যথা, সবসময় ঢোক গিলতে হয়, মুখে অনেক লালা জমে যায়।
- মুখ, নিশ্বাসে দুর্গন্ধ। লালাও দুর্গন্ধ।
- অল্পজ্বর কিন্তু প্রচুর ঘাম হয়, ঘামে জ্বর কমে না।
- নাকের সর্দি হাজাকর, সবুজাব বা পুজের মতোও হয়।
- গলা বসে যায়, শুষ্ক কাশি, গলায় খুসখুস করে।
- গরম ঘরে বৃদ্ধি পায় কিন্তু আবার ঠাণ্ডাও সহ্য করতে পারে না।
- জিহ্বা মোটা, থলথলে, দাঁতের ছাপ থাকে।
[৮] Gelsemium:
-1918-19 সালের ভয়াবহ স্প্যানিশ ফ্লুতে এ ওষুধটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে। Society of Homeopath, UK, ব্রায়োনিয়ার সাথে জেলসিয়াম ওষুধকেও প্রিভেন্টিভ ওষুধ হিসেবে রিকমেন্ড করেছে।
- নিদারুন দুর্বলতা, মাথাঘোরা, শরীর থরথর করে কাঁপে।
- জ্বরের সাথে অল্প পিপাসা থাকে।
- গরম আদ্র আবহাওয়ায় সর্দি।
- নাকের স্রাব হাজিয়ে যায়, নাকে ক্ষত হয়। নাক দিয়ে যেন গরম তপ্ত পানি বের হচ্ছে এমন লাগে।
- জেলসের সর্দি ধীরে ধীর বিকাশ লাভ করে।
- মৃদু শীতকালের ঠাণ্ডা-সর্দি ও জ্বরে এটি বেশি লাগে।
- বিরক্তিকর, খুসখুসে কাশি, আগুনের পাশে থাকলে কমে।
- সারা শরীরে ভারবোধ, খুব দুর্বল লাগে।
- পিঠে শীত লাগে, শীত পিঠ বেয়ে উপরে ওঠে আবার নামে।
- মাথাব্যথা।
- ফ্লুর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ওষুধ [ML Tyler]
[৯] Arsenicum album:
- ভারতের AYUSH এ ওষুধটিকে COVID-19 এর প্রতিরোধক ওষুধ হিসেবে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
- নাক থেকে পাতলা স্রাব যায়, ক্ষতকারি স্রাব, উপরের ঠোট হাজিয়া যায়। নাক সময় বন্ধ থাকে, খুব বেশি হাঁচি হয়। হাঁচি দিলেও নাক খোলে না।
- নাকের মধ্যে একটা স্থানে সুড়সুড় করে যেন পালক দিয়ে সুড়সুড়ানি দিচ্ছে। হাঁচির পরও সুড়সুড়ানি কমে না, হাঁচি দিতেই থাকে।
- নাকেই ঠাণ্ডা যেনে আগে লাগে, আবহাওয়ার পরিবর্ততে হাঁচি হয়। প্রথমে নাকে ঠাণ্ডা লাগে এরপর ঠাণ্ডা বুকে যায়।
- আর্স সবসময়ই শীতে কাতর হয়, বাতাসের ঝাপটা সহ্য করতে পারে না।
- ঠাণ্ডায় যেন জমে যায়, যতই কাথা গায়ে দেয় ঠাণ্ডা যায় না। আগুনের কাছ থেকে সরে না। রক্ত যেন বরফের নালি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এমন লাগে।
- নাক জ্বলে, গলা জ্বলে, গরম পানি খেলে জ্বালা কমে।
- জ্বরের সময় শরীর খুব গরম হয়, তখন মনে হয় রক্তের নালি দিয়ে যেন ফুটন্ত পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
- শীতে বাড়ে, মধ্যরাত, দুপুরের রোগ বাড়ে, রাতে বাড়ে, গরমে উপশম, গরম কক্ষে ভাল অনুভব করে।
- অস্থিরতা, ঘন ঘন অল্প পরিমানে পানি পান করে, মৃত্যুভয়।
[১০] Rhus toxicodendron:
-ঠাণ্ডা আদ্র আবহাওয়া থেকে রোগের উৎপত্তি। বিশেষ করে ঘামের সময় যদি ঠাণ্ডা আদ্র আবহাওয়ার সংস্পর্শে যায় তখন ঠাণ্ডা লেগে যায়। (Dulcamara)
- নাসাস্রাব; গলা লাল হয়ে ফুলে যায়।
- প্রত্যেক ঠাণ্ডাতে নাক বন্ধ হয়ে যায়।
- ঠান্ডায় বাড়ে, গরমে কমে।
- গাঢ় হলদে, দুর্গন্ধযুক্ত শ্লেষ্মা স্রাব হয়।
- রাতে, বিশ্রামে বাড়ে, রাতে অস্থিরতা দেখা দেয়, ভয় পায়।
- স্বরভঙ্গ হয়, গলা যেন ছিলে গেছে, খসখসে; কথা বলার শুরুতে বাড়ে কিছু কথা বলার পর স্বরভঙ্গ কমে।
- ঠাণ্ডা পানির পিপাসা, বিশেষ করে রাতে; কিন্তু ঠাণ্ডা পানি খেলে শীত লাগে এবং কাশি দেখা দেয়।
- অনাবৃত থাকলে বাড়ে।
- শরীর ব্যথা, যেন হাড় ব্যথা করে <রাতে, বিকালে; হাচি কাশিও বাড়ে।
[১১] Hepar Sulph:
- শুষ্ক ঠাণ্ডা বাতাসের সংস্পর্শে ঠাণ্ডা-সর্দি লাগে (acon,nux v), নাক, কান, গলা, স্বরনালি, বুক থেকে শ্লেষ্মা বের হয়।
- নাকে ঠাণ্ডা, প্রচুর স্রাব, যতবারই ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে যায় ততবারই হাঁচি হয়।
- হাঁচি, নাক থেকে প্রথমে পাতলা পানির মতো স্রাব যায়, পরবর্তীতে স্রাব ঘন, হলদে হয়, দুর্গন্ধ শ্লেষ্মা।
- ঠাণ্ডার সংস্পর্শে গলা বসে যায়, কাশি হয়, নাক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস প্রবেশ করলেই বাড়ে, হাত বা পা কাথার বাইরে বের করতে পারে না, বের করলেই কাশি।
- ঘাম বেশি, সারা রাত ঘামে, তাতে কোন উপশম হয় না।
- অতিসংবেদনশীল, স্পর্শ সহ্য হয় না, ব্যথায় রোগী খুব কাতর হয়ে পড়ে, ঠাণ্ডা বাতাস একদম অসহ্য। রুমের দরজা জানলা বন্ধ করে কোন ফাঁকফোকর থাকলে সেটাও বন্ধ করে।
- ঘরের মধ্যে কেউ যদি ঠাণ্ডা প্রবেশ করায় তাকে মারতে চায়।
- আদ্র গরম আবহাওয়ায় ভালবোধ করে।
- ডা: ফেরিংটন এ ওষুধকে রোগের শুরুতে ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তাতে নাকের সর্দি চাপা পড়ে বুকে জমে যেতে পারে। যদি ঠান্ডা বুকে জমে যায় তাহলে পরবর্তীতে ফসফরাস ভাল কাজ করে এবং রোগীকে আরোগ্য করে।
[১২] Phosphorus
- একবার নাক থেকে প্রচুর সর্দিস্রাব হয় পরক্ষনেই নাক বন্ধ হয়ে যায়। পর্যায়ক্রমে এ অবস্থা চলতে থাকে। (নাক্স, পালস)
- গলাব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বরজ্বর লাগে।
- নাকের সর্দি শুকিয়ে নাকে চটা পড়ে, সেটা শক্তভাবে নাকের ভিতর আটকে থাকে।
- নাকের একটা ছিদ্র খোলা থাকলে আরেকটা ছিদ্র বন্ধ থাকে।
- হাঁচি দিলে বুকে ও মাথায় ব্যথা করে।
- নাক ঝাড়লে রক্ত আসে, নাক লাল, চকচকে, ব্যথাযুক্ত।
- বুকে চাপবোধ
- শক্ত কাশি, বুক চেপে ধরে, শুষ্ক, যন্ত্রনাপূর্ণ, খোলা বাতাসে বাড়ে।
- ফসফরাসের ঠান্ডা বুক বা স্বরনালি থেকেই শুরু হয়।
- ঠান্ডা পানির পিপাসা, একাকী থাকেতে চায় না, লবন খায়, অন্ধকারে ভুতের ভয়। ঝড়বৃষ্টির ভয়।
[১৩] Pulsatilla:
-সর্দি হাজাজনক নয়, ঘন, হলুদ, নাক ও গলা থেকে নি:সৃত হয়।
- ঘ্রান ও খাবারের স্বাদ পায় না। অথবা মুখ তিতা হয়ে থাকে।
- পিপাসাহীন, ক্ষুধা কম।
- রাতে নাক বন্ধ হয়ে থাকে, সকালে নাক থেকে স্রাব যায়।
- খোলা বাতাসে নাক খুলে যায়, ঘরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। তাই যখনই ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে তখনই খুব শ্লেষ্মা যায়, এবং সন্ধ্যায় বৃদ্ধি।
- নরম স্বভাবের রোগী, ক্রন্দনশীল, সান্ত্বনা চায়, খোলা বাতাস ও সঞ্চালনে উপশম।
[১৪] Sulphur:
- সমস্যা যখন ক্রনিক হয়।
- যাদের নাকে সহজেই প্রদাহ হয়ে সর্দিস্রাব হয়। অবিরাম হাঁচি, নাক বন্ধ।
- নাক থেকে ঘন দুর্গন্ধ স্রাব হয়।
- একোনাইটের রোগী ব্যর্থ হলে সালফার, বা অন্য ওষুধে যখন কাজ না করে তখন এটি মাথায় আনতে হয়।