Saturday, March 28, 2020

করোনায় হোমিও-৩

সংগৃহীত: Mohammad Mohshinuzzaman BHMS

Coronavirus disease 2019 (COVID-19)
-------------------
আজ আমরা আলোচনা করবো Covid-19 এর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিষয়ে। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কোন রোগের নাম ধরে হয় না। রোগীর মাঝে প্রকাশিত লক্ষণাবলী ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্রিকরণ (individualization) করে চিকিৎসা করা হয়।
#Covid-19 রোগের লক্ষণগুলো হল -
প্রধান লক্ষণ: জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট।
অন্যান্য লক্ষণ: দুর্বলতা, শরীর ব্যথা (continuous dull pain), নাক থেকে সর্দিস্রাব, গলাব্যথা।
উপরের লক্ষণগুলো কারো মাঝে হালকাভাবে দেখা দেয় কারো মাঝে মধ্যম ভাবে দেখা দেয়, কারো ক্ষেত্রে মারত্মকভাবে দেখা দিতে পারে। কিছু মানুষের আবার কোন লক্ষনই প্রকাশ পায় না। যাহোক বৃদ্ধলোক এবং যাদের ক্রনিক মেডিকেল কন্ডিশন যেমন- হৃদরোগ বা ফুসফুসের রোগ (emphysema, COPD), উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি রোগ আছে তাদের ক্ষেত্রে অবস্থা ক্রিটিক্যাল হতে পারে।
এ রোগটি সাধারণ ঠাণ্ডাকাশির মতো করেই শুরু হয় যেমনটা আমরা ইনফ্লুয়েঞ্জার রোগীতে দেখতে পাই। রোগটি যদি শুরুতে থামানো না যায় তাহলে জটিল অবস্থা ধারণ করে। সেক্ষেত্রে নিউমোনিয়া দেখা দেয় (উভয় ফুসফুস আক্রান্ত হয়), শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে রোগী মারা যেতে পারে।
সুতরাং করোনার রোগী চিকিৎসা করতে গেলে আমাদের যেসব ওষুধ কাশি, জ্বর, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতে হবে। সেই সাথে শ্বাসকষ্ট ও নিউমোনিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধগুলো সম্পর্কেও ভাল জ্ঞান রাখতে হবে যাতে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে পারি।
প্রতিটি ওষুধেরই আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ রয়েছে সেগুলো প্রতিটি রোগীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্রিকরণের সাথে মিল করে ওষুধ প্রয়োগ করতে হবে।
#শক্তি ও মাত্রাঃ
এক্ষেত্রে ওষুধ অবশ্যই শক্তি পরিবর্তন রীতিতে প্রয়োগ করতে হবে। ৫০ সহস্রতমিক ওষুধ ০/১ বা ০/২ থেকে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণভাবে ৪ ঘন্টা পরপর দেয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে খুব ঘনঘন বা দেরিতে প্রয়োগ করতে হবে। যারা শততমিক ওষুধ ব্যবহার করেন, তারা ওষুধের ৬, ৩০, ২০০, ১০০০ শক্তি রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ব্যবহার করবেন।
পরবর্তীতে আমরা সাধারণ ঠাণ্ডাকাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়াতে বেশি নির্দেশিত ওষুধগুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ।
#করোনাভাইরাস ডিজিজ ২০১৯ থেকে বাঁচার জন্য যা করবেন -
১. লোকজনের সমাবেশ থেকে দূরে থাকুন।
২. যারা অসুস্থ বা যাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে তাদের থেকে ৬ ফুট দূরে অবস্থান করুন। অন্যদের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকুন।
৩. সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোন, অথবা এলকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার (60% এলকোহল) ব্যবহার করুন।
৪. হাঁচি বা কাশির সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢাকুন, না থাকলে আপনার কনুই দিয়ে মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দিন।
৫. হাত পরিস্কার না করে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
৬. খাবার, গ্লাস, বিছানা এবং অন্যান্য গৃহস্থলি আইটেম কারো সাথে ভাগাভাগি করবেন না।
৭. দৈনন্দিন যেসব স্থান/সমতল আপনাকে স্পর্শ করতে হয় সেগুলো প্রতিদিনই পরিস্কার করে জীবানুমূক্ত থাকুন।
৮. কাজ, স্কুল এবং পাবলিক স্থান থেকে দূরে থাকুন এবং বাসায় থাকুন। নিতান্ত প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলো সাবধানতা অবলম্বন করুন। যদি আপনি অসুস্থ থাকেন তাহলে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পরিহার করুন।
৯. কাঁচা মাংস বা ঠিকমত গরম করে রান্না করা হয় নাই সেধরনের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
১০. জীবন্ত প্রাণী এবং কোন সমতল যেমন খোলা মার্কেটের, সিড়ির রেলিং ইত্যাদি স্পর্শ করা থেকে বেঁচে থাকুন।
১১. আক্রান্ত স্থানে ভ্রমন করার কথা মাথায়ও আনবেন না।
WHO এবং CDC সাধারণত সাধারনদের জন্য মাস্ক পরার পরামর্শ দেন না। যদি কোন ডাক্তার বা স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতারা আপনাকে পড়ার নির্দেশ দেন তবে মাস্ক পড়ুন।

No comments: